বা র্ণি ক
বর্ণশিল্পীর ক্যানভাস
Wednesday 11 November 2020
Thursday 29 June 2017
সম্পাদকীয়
বার্ণিক(বর্ণশিল্পীর ক্যানভাস)
গ্রীষ্ম সংখ্যা, ২০১৭
সম্পাদকীয়
অনেক
কথাই বলার ছিল, কিছু কথা যাই বলে -
আগামীর আবাহনে এগিয়ে চলা ক্রমশ । ছন্দময় পথের
গতিময়তায় রুদ্রপলাশ আর রাধাচূড়ার রঙিন
বসন্তকে বিদায় জানিয়ে “আগুন জ্বালো ... আগুন জ্বালো” স্বরে বৈশাখকে বরণ করা হয়েছে
ঠিকই, উষ্ণতার জটিল স্পর্শে মনে মনে ডাক ছিল “এসো করি স্নান নবধারা জলে” । পাঠকবর্গের মনে হতেই পারে , “বার্ণিক” এর গ্রীষ্ম সংখ্যার প্রকাশ যে অনেকটাই
পিছিয়ে গেছে, আর সে কারনেই উপরের অংশটুকু লেখার জন্য লেখা ... , না আসলে তা নয়, এই
নিত্যদিনের গ্যাস-পলিউশন আর ইলেকশনের কানেকশনে নাস্তানাবুদ বাঙালীর মন ভালো নেই ।
বৃক্ষনিধন থেকে সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ – কে না জানে আমার শহরটার মন কেমনের গল্প । “মেঘ পিওনের ব্যাগের ভিতর মন কেমনের দিস্তা”দের মন ভালো করার রুপকথা
“বার্ণিক” শোনায়নি । তিন প্রহরের বিল দেখানোর মত প্রতিশ্রুতিতে আমরা বিশ্বাসও করি
না ।
এসব কথা লিখতে লিখতে
“বার্ণিক সাহিত্য উৎসব ২০১৭”র আলোর রেণুরা মাখামাখি হয়ে উঠল সর্বাঙ্গ জুড়ে
। এ বাংলার মানুষজনের মিলনস্থলে কয়েকটি ঘন্টা সাহিত্যের সৌরভে । বার্ণিক প্রকাশনের
আটটি বই প্রকাশ শুধু নয়, লিটল ম্যাগাজিন সম্মাননা প্রদান এবং বার্ণিক সাহিত্য
সম্মান প্রদানের গৌরবান্বিত অধ্যায়ে আমরাও সম্মানিত ।
বার্ণিক গ্রীষ্মসংখ্যার কাজটি বার্ণিকের অন্য সংখ্যাগুলির
থেকে বিন্যাস ও বৈচিত্র্যে ভিন্ন না হলেও বিভিন্ন লেখকদের লেখা, হয়ত যারা কোনদিনই
‘সৃজন’ বা ‘বার্ণিক’ এ লেখেননি । এর বাইরেও গ্রীষ্ম সংখ্যাটির সার্বিক দায়িত্ব
পালন করেছে ‘বার্ণিক’ এর কনিষ্ঠ সদস্য ইমরাজ হাসান । ইমরাজকে ভীষণভাবে সহায়তা
করেছে শুভদীপ সেন শর্মা ।
২০০৯ থেকে ২০১৭ । ‘সৃজন’
থেকে ‘বার্ণিক’ এর এই যাত্রাপথে একটি অনন্য সংখ্যার উপহার আমরা পাঠককে তুলে দেওয়ার
অপেক্ষায় । “বার্ণিক” শারদ সংখ্যা ১৪২৪ । আয়োজন চলছে ।
প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।
মধুসূদন রায়
সম্পাদক, বার্ণিক
নামাঙ্কন ও অলংকার- শুভদীপ সেনশর্মা
লেখায় ব্যবহৃত ছবি সৌজন্য-ইন্টারনেট
লেখা পাঠাতে হলেঃ
Word ফাইলে যে কোন লেখা পাঠাতে পারেন amdrbarnik@gmail.com আই-ডি তে ।
বিষয়ভিত্তিক লেখা পাঠাতে আমাদের ফেসবুক পেজে নজর থাকুক – www.facebook.com/ বার্ণিক প্রকাশন
অথবা whatsapp / call – 8391058501
টিম বার্ণিকঃ
শিশির চন্দ, রুমকি রায় দত্ত, সন্দীপ মণ্ডল, ইন্দ্রনীল বক্সী , ইমরাজ হাসান, তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়, অচিন্ত্য রায় , সায়ন্তন মাইতি ও মধুসূদন রায় ।।
বার্ণিক শারদ সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান
আসছে বার্ণিক ( পরিবর্তিত নামে নবম বর্ষ ) এর শারদ সংখ্যা । । বার্ণিক শারদ সংখ্যা ১৪২৪ এর জন্য লেখা আহ্বান । লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী –
১) অবশ্যই লেখা মৌলিক হতে হবে । ফেসবুক / ব্লগজিন / ওয়েব পোর্টাল এ প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না ।
২) লেখা মেল করার সময় অবশ্যই অভ্রতে লিখে ওয়ার্ড ফাইল বা .doc এ পাঠাতে হবে । ওই ফাইলে অবশ্যই নিজের নামসহ ঠিকানা ও যোগাযোগ নং দিতে হবে । mail – amdrbarnik@gmail.com অথবা স্পিড পোস্ট / DTDC COURIER / PROFESSIONAL COURIER ( প্রতিটির ঠিকানা আলাদা, লেখা পাঠানোর আগে ঠিকানা জেনে নেবেন ) এর মাধ্যমে । লেখা পাঠানোর সময় অবশ্যই নিজের নামসহ ঠিকানা ও যোগাযোগ নং দিতে হবে ।
৩) কবিতা ( সর্বাধিক ৩ টি ), ছোটগল্প ( কমবেশি ১৫০০ শব্দ ), অণুগল্প ( কমবেশি ৩০০ শব্দ ), রম্যরচনা ( কমবেশি ৬০০ শব্দ ), মুক্তগদ্য ( কমবেশি ৬০০ শব্দ ) ।
৪) লেখা পাঠাতে হবে ১৫ জুলাই ২০১৭ র মধ্যে ।
৫) বার্ণিক এ পাঠানো লেখা অন্য কোন পত্রিকায় পাঠাবেন না ।
মনোনয়ন সংক্রান্ত তথ্য সময়মত জানিয়ে দেওয়া হবে । এ বিষয়ে বারবার খবর নেবেন না । whatsapp বা ফেসবুকের ইনবক্সে লেখা পাঠাবেন না । প্রতিটি লেখার সঙ্গে লেখকের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল নং না দেওয়া থাকলে লেখা বাতিল করা হবে ।
পত্রিকা প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে । গত আট বছরের মতই, পত্রিকায় যাদের লেখা থাকবে তাদের প্রত্যেককেই সৌজন্য সংখ্যা দেওয়া হবে । সৌজন্য সংখ্যা আমদের দপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই সংক্রান্ত যাবতীয় কথা বলুন ph / whatsapp – 8391058501 তে । mail – amdrbarnik@gmail.com
কবিতা
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
নারী
আমাকে নিয়েছ তুমি এতোই আপন করে,
আমাকে নিয়েছ তুমি নিজেকে
ভুলে,
পশুকে ঈশ্বর তুমি করেছ ভালোবেসে-
ললনা তোমাকে প্রেম দিতে পারি না-
দুহাতে তুলে ধরি নিজেকে নিবেদনে।
যে সভ্যতা সৃষ্টি করে বিভেদের এতো বেড়াজাল,
এতো হিংস্রতা পাহাড়প্রমাণ;
হাহাকারে রাত জাগে আক্রান্ত মানুষেরা-
আমাকে দুদণ্ড স্বীকৃতি দিয়েছ তুমি,
মোছালে চোখের জল-
এতো কিছু ক্লেশ ভুলে
নিঃস্ব এসেছি সম্পূর্ণ সমর্পণে।
তোমার হাতে তুলে দিলাম নিজেকে;
পৃথিবী উজ্জ্বল করো দয়া ও প্রেমে।
বটঝুড়ি গ্রাম
আমার
নিজস্ব এই বটঝুড়ি গ্রাম, শান্ত বিকেলে
পা রাখলাম;
নিকটে নাবাল জমি নিসর্গ চলচ্ছবি,
আমি
স্থাণুবৎ - পথ দিয়েছে এ পথের সন্ধান;
পথ থেকেছে
পথের অধীন বার বার।
এই শান্তি
যেন মেলাভাঙা মাঠ,
উড়ে যায়
পাখি- উড়ে যায় রমণীদল,
পরিচ্ছন্ন
বসনবেণী; উড়ে যায় জাত কুল।
উড়ে যায়
মানসম্মান লজ্জাহীন অঘোর ঘুমে,
চাদরমুড়ি
জমাটঘুমে।
চলনবলন
অন্তগমন খুঁট বেঁধেছি গাছের ডালে,
বিশ্রাম
তাই বটঝুড়িগ্রাম;
অনন্যপাথরে
শুয়ে থাকলাম।
ফকির
শান্ত ফকির
এক নেমেছে যমুনা জলে,
নির্জন
সাধনা তার –
স্নান
শেষে ফিরে যায় নিজস্ব কুটিরে;
ঝড়ে কিছু
পাখি মরে,
বিচলিত
ফকিরের অশ্রুধারা মিশে যায়
পুণ্য
সলিলে।
দেবত্ব
আরোপিত হয়-
ফকিরের
সাধনস্থলে,
প্রবল
আপত্তি তার ভেসে যায়
জান্তব
কোলাহলে।
ফকির কি
ভেবেছে কখনও
তাকে ঘিরে
গড়ে ওঠা বাণিজ্য বসতি?
পালাবার পথ
নেই-
ফকির হয়েছে
আজ ভক্তবৎসল;
ত্রাহি
মধুসূদন!
কবিতা
রেহান কৌশিক
ভাষ্য
কবিতা
লিখিনি আজও। সে-সাহস জন্মায়নি এখনও।
ধারাভাষ্য
লিখে রাখি অনন্ত, তোমার।
যেমন
বৃষ্টির জল নিঃশব্দ আলোয় ধ’রে রাখে
বিষাদের নীল-পান্ডুলিপি
জানালার ভিজে-অন্ধকার!
বিকেল
যখন ভেঙে পড়ে
ছোট ছোট
রোদ আর সস্তা-ফ্রকের কিশোরী
রূপকথা লিখে রাখে গলির ভিতরে!
এ রকম কত
আভা দিগন্তের সুদূর আভায়
মিশে
মিশে মেঘ হয়, বৃষ্টি জন্মায়!
এ
সব কবিতা নয়। নেই মাত্রা, দল, পর্ব। নেই কোনওখানে।
জেগে
থাকে শুধু আলো, কোনও এক আশ্চর্য আত্মার!
কবিতা
লিখিনি আজও। সে- সাহস জন্মায়নি এখনও।
ধারাভাষ্য
লিখে রাখি অনন্ত, তোমার।
দ্রোহগান
শৃঙ্খল
আজন্ম
দেখেছি আমি অবাধ বাণিজ্যের কাছে
মানুষের
আত্ম-বিপণন।
সুতরাং
পাখি নয়, সবুজ জঙ্গল নয়
নিরন্তর
ডাক দেয় শুধু
হেঁটে
চলা মিছিলের তীব্র আগ্রাসন!
ধর্মঘটি
মানুষের তামাটে চোয়াল সহ্য করে
যত বিষ, চতুর ছোবল
আমার
ঘুমের দেহে অহরহ মিশে যেতে থাকে
সেই
সব মৃত্যুগামী শোষিতের আর্ত কোলাহল...
পাখিদের
বিস্তৃত ডানায়
শুকিয়ে
গিয়েছে দেখি উড়ানের দূর সম্ভাবনা
তছ্নছ্
হয়ে আছে ঠোঁট থেকে ঠোঁটে
চুম্বনের সমস্ত কল্পনা!
তুমি
কি চাইলেই আমি যেতে পারি সমুদ্রে কোথাও
কুড়োবো
রঙিন নুড়ি সুবিস্তৃত জলের কিনারে?
আমার
যে হাঁটা থাকে, প্রতিদিন মিছিলে মিছিলে
রক্ত-শূন্য
মানুষের গাঢ় অন্ধকারে।
এই দ্রাবিড়-জন্ম
কিছুই
হল না আর
রাত্রিদিন
জুয়া খেলে অন্নহীন এই বেঁচে থাকা...
তুমিও
বলোনি কিছু! দেখি স্থির হয়ে পড়ে থাকে
তোমার
মুখের ছায়া পাথরে, খনিজে...
ওঠে
নামে খনির শ্রমিক
মিশে
থাকে রক্ত-ঘাম প্রকাশ্য পাঁজরে
নেই
কোনও নিশ্চয়তা ফিরবে কিনা তরুণীর
আহ্লাদিত গা- ধোওয়া বিকেল!
পুঁতেছে
পুঁইয়ের বীজ তবু
সবুজ
লাবণ্য যদি কোনওদিন ছুঁতে পারে
ছাউনির টালি!
অসম্ভব
কিছু কিছু বিশ্বাস নিয়েই
মানুষেরা
শ্বাস নেয়, জুয়া খেলে উঠে দাঁড়ানোর...
আমার
দ্রাবিড় জন্ম আর্যদের অত্যাচারে
ধূলিসাৎ
হয়েছে অনেক...
কবিতা
তৈমুর খান
ঘুম ভাঙল না
কথা বলতে বলতে জ্বরের ভাঙা আয়নার কাছে
দাঁড়িয়ে আছি
একটু জল গরম হবে
?
সন্ন্যাসিনী কররেখা গুনে গুনে
আলখাল্লার দিকে চলে গেল
আমার ঘুম ভাঙল না তবুও
কাঁপন এল । কোনও প্রাচীন কাঁপন এক
।
সন্নিধির পরস্পর জ্যোতি ঢেকে দিল
মেঘবর্ণ অবিশ্বাস .....
অনবরত কাপড় পরে নিতে নিতে
নিজেকে ডাকছিলাম
ঘুম ভাঙল না তবুও
।
খোলা দরজায় বিশ্বাস চলে গেল...
খুঁজে যাচ্ছি
প্রশান্তির উল্কায় একটি মানবগ্রহ খুঁজে যাচ্ছি
এখানে পৃথিবী জুড়ে দাগ
সমস্ত যুগের ট্রেন রক্তের দিকে চলে গেছে
এসেছে রক্তাক্ত
চাঁদ ভোরের আকাশে
দুর্যোগের কপালে কি অনসূয়া বার্তা দিতে চাও ?
জীবনমহিমার বৃক্ষে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে
কী গন্ধ এনে দেবে
?
সমস্ত জিজ্ঞাসার নদীতে খুঁজে যাচ্ছি নাও
পরপারে যাব
পরপারে যদিও অব্যয় সব সংশয় সূচক
তবু বিস্ময় দাঁড়িয়ে আছে আমাদের প্রতিটি বিশ্বাসে
চেয়ে চেয়ে সারারাত দেখি তাকে...
মধ্যবিত্ত পাড়া
প্রশ্ন আর রক্তের ভেতরে ডুবে যাচ্ছে আমাদের গান
হিরণ্য সুখ চলে যাচ্ছে কোথায়
কেউ কি তা জানে
?
গর্জন শুনতে শুনতে আমরা কার অপেক্ষা করছি ?
কে বাজনা বাজাতে বাজাতে আসবে
আর সারারাত নাচবে উঠোনে ?
আমাদের ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত পাড়ায়
অনেক মৌমাছি উড়ছে
বিজ্ঞাপনের আলো জ্বলছে
তবু ভেতরে ভেতরে ভিখিরি সবাই
কেউ দেখতে পাচ্ছে না
প্রত্যেকেই হাত পেতে আছে ।
কবিতা
নবকুমার পোদ্দার
বসন্তগান
মহৎ বৃক্ষে শ্রীহরি ফুটেছে
সমুদ্র তিলকে কত বৈষ্ণবী
বৃন্দাবন দোতারায় রাখালিয়া মহরৎ
সমুদ্র তিলকে কত বৈষ্ণবী
বৃন্দাবন দোতারায় রাখালিয়া মহরৎ
আত্মহারা বংশে পবিত্র রাখাল
মাটি ও সুরের দীপাবলি
মাটি ও সুরের দীপাবলি
মিলনের পূর্ণিমায়
দীর্ঘতম মায়া
সাধনার শ্বেতকরবী
দীর্ঘতম মায়া
সাধনার শ্বেতকরবী
তুমি
আয়নায় আন্তরিক
এই দেহ
দেহে দেহে রসযাত্রা
উঠে দাঁড়ানোর ভূমিকা
দেহে দেহে রসযাত্রা
উঠে দাঁড়ানোর ভূমিকা
একটা ছুরি
ভূগোল কাটতে
পৃথিবী পাখির অভাব গোছায়...
ভূগোল কাটতে
পৃথিবী পাখির অভাব গোছায়...
গোধূলি
আত্মহত্যা বাজনা বাজাব
আত্মহত্যা ঘুড়ি ধরবো
আত্মহত্যা ঘুড়ি ধরবো
এসো স্নান
নিয়মিত পাহারাদার
নিয়মিত পাহারাদার
আর ও আত্মহত্যার
গোপন সমীরণ...
গোপন সমীরণ...
কবিতা
কুমারেশ তেওয়ারী
বিভ্রম
আর এই খুলে পড়ার মধ্যেই নিরন্তরতা
উহাকে উন্মোচন বলো ঘাইযন্ত্র বলো
অথবা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
স্ট্রবেরি ঘাম ঝড়ে পড়তেই গলি আলোকিত
হয়ে উঠবেই খুব সিনেমেটিক
জঙ্গলরুটের কাছে সেজেগুজে বসে থাকবে কুঞ্জবন
কোথাও উবু হয়ে
বসে নিউটন ওড়াবে তৃতীয় সূত্র
কোথাও ওয়াচটাওয়ারে বসে নচিকেতা মৃত্যুর সঙ্গে আলোচনায়
দেখাবে ফলকগুলো থেকে উঠে আসছে
ভৈরবী রাগের ধুন
দাঁড়ি কমা হাইফেন ছুটতে ছুটতে
ভেঙে পড়ছে অথবা ঢুকে পড়ছে
ডিমের কুসুমে কুসুমায়িত হবে বলে
আর লীনতাপ ছড়িয়ে পড়তেই
গাছপালা
নদী পাহাড় উপত্যকা এবং মানুষ
কেলাসিত অবাক দর্শক এবং তাদের চাঁদিয়াল বিভ্রমগুলোও
তখনও ছিল সুসমাচার
তুমি তো ফেরার ছিলে তাই দেখনি
এতসব ঘটে যাওয়ার পর যখন বালতি চাইছে
আরেকবার এবং বারবার দেখে আসতে
কুয়োর মুখ যত সব হিমাঙ্ক হটিয়ে
তখন ইবলিসের মুখের ভেতরে সার সার
শুধু মরা সাপ, যাদের আর কোনো নিঃশ্বাস ছিলোনা
সুইসাইড নোট ক্রমশ গুটিয়ে ছোটো করে নিচ্ছিল নিজেকে
ঘুমিয়ে পড়া সাঁকো জেগে উঠে প্রস্তুত করছিল পারাপার
তুমি তো দেখনি কিছুই
ভেঙ্গে যাওয়া অক্ষরের শরীর থেকে
উঠে আসা প্রতিফলনে জেগে উঠছিল কক্ষপথ
আর উথালপাথাল আবার মেখে নিচ্ছিল
লবণাক্ত হওয়ার সুসমাচার
এইসব গোপন কথাগুলি
এইসব গোপন কথা থেকে উঠে আসবে অমলতাস
আর রজনীকান্তের নির্বান্ধব গান। মৃদু ফুল।
কোমলগান্ধার দেখাবে সরলতা আজও কতটা প্রাসঙ্গিক।
বিভিন্ন রঙের কুণ্ঠা থেকে ঝরে পড়তে থাকবে
কালো রঙের ছাই। পায়েসান্ন হাতে সুজাতা এসে
শোনাব এক দীর্ঘ ভ্রমণকাহিনী।
পরতে পরতে যার ঘেসাঘেসি। বসে থাকে সুরেলা আনন্দ আর বিষাদঘন রাত।
এক দীঘল ল্যাণ্ডস্কেপের ছবি এঁকে পুনশ্চ মুছে দিচ্ছে এক চিত্রকর।
চোখ থেকে তার বেরিয়ে আসছে একটার পর একটা
বিবিধ প্রজাতির সাপ। দেখতে দেখতে জ্বলে উঠছে
জন্মজেয়র যঞ্জের আগুন।
অথচ সাপগুলো সব পাতালকন্যা উলুপির পাশে বসে
দেখছে তার শৃঙ্গার।
এইসব গোপন কথাগুলি কি কোনোদিন
নাটকীয় সংলাপ নিয়ে দাঁড়াবে দরজায়
ভাবতে ভাবতে বৃহন্নলা অর্জুন মালা গেঁথে দিচ্ছে
রাজকুমারীর চুলে।
Subscribe to:
Posts (Atom)